Banner

চিকিৎসক এর তথ্যে গরমিল, হিসাব মেলাতে চালু বায়োমেট্রিক

চিকিৎসক এর তথ্যে গরমিল, হিসাব মেলাতে চালু বায়োমেট্রিক

চিকিৎসক এর তথ্যে গরমিল, হিসাব মেলাতে চালু বায়োমেট্রিক 
সরকারি হোক বা বেসরকারি, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিকিৎসকদের সঠিক তথ্য পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে। দেশজুড়ে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির চিকিৎসকদের সঠিক সংখ্যা জানতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল কাউন্সিল।

দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যাপকদের সঠিক তথ্য একত্রিত করতে শুরু হয়েছে আধার বায়োমেট্রিক হাজিরা। প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এই আধুনিক বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হয়েছে। চিকিৎসকদেরকে আধার নম্বর দিয়ে বায়োমেট্রিকে নাম নথিভুক্ত করতে হচ্ছে। আসার সময়ে নিয়মিত আধার বায়োমেট্রিক উপস্থিতি দিয়ে কাজ শুরু করতে হচ্ছে। বেড়ানোর সময় আবার বায়োমেট্রিকে থাম্বেল পেইন্ট দিয়ে প্রস্থান করতে হচ্ছে।

দেশজুড়েই শুরু হয়েছে এই নিয়ম। বাদ যায়নি, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন,  আধার বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক। কাউন্সিলের নির্দেশে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও বসানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা সেখানেই উপস্থিতি দিচ্ছেন। তথ্য সরাসরি মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সদর দফতরে নথিভুক্ত হচ্ছে। সম্পূর্ণ উপস্থিতি দেওয়া হচ্ছে অনলাইন মাধ্যমে। মেডিক্যাল কলেজগুলির হাতে আর কিছুই নেই।

জানা গিয়েছে প্রত্যেক চিকিৎসকদের ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই অনলাইন মাধ্যমে। শুধুমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজগুলি নয়, এর আওতায় রয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে থাকা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিও। এমন সিস্টেম চালু করার কারণ হিসাবে মেডিক্যাল কলেজের কর্তাদের একাংশের মত, এখন থেকে কাউন্সিল সব তথ্য নিজের কাছে সরাসরি রাখতে চাইছে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বিভিন্ন বিভাগে অধ্যাপকের সংখ্যা কম থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ সেখানে বেশি করে অধ্যাপকদের সংখ্যা দিচ্ছেন। এর ফলে মেডিক্যাল কলেজ গুলির পড়াশোনার মান কমে যাচ্ছে।