Banner

চোটের জবাব ভোট এ দেবে মানুষ, হুঙ্কার নরেন্দ্র মোদীর

চোটের জবাব ভোট এ দেবে মানুষ, হুঙ্কার নরেন্দ্র মোদীর
চোটের জবাব ভোট এ দেবে মানুষ, হুঙ্কার নরেন্দ্র মোদীর
সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই বলেছিলেন, "অনেক কিছু বলার আছে ৷ দলীয় মঞ্চে বলব ৷" সেই কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ শুরু থেকেই একদিকে সন্দেশখালি এবং অন্যদিকে দুর্নীতি, দুই ইস্যুকে হাতিয়ার করে একের পর এক তীর চালিয়ে গেলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের উদ্দেশে ৷ সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল তো বটেই, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কেও সরাসরি আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷

শুক্রবার আরামবাগের সভা থেকে ঠারেঠোরে নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিলেন, সন্দেশখালি ঘটনার মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে বাঁচানোর পিছনে হাত রয়েছে খোদ রাজ্যের শাসকদলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ৷ আর সব শেষে প্রধানমন্ত্রী বললেন, "চোটের জবাব, ভোটে দেবেন মানুষ ৷"

শুক্রবার ধানবাদ থেকে আরামবাগে আসলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ 'বিজয় সংকল্প যাত্রা'য় এদিন নরেন্দ্র মোদি বাংলায় কার্যত লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন আরামবাগ থেকেই ৷ সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, বিজেপির ভোট প্রচারের সুরও বেঁধে দিয়েছেন ৷ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আপাতত সন্দেশখালি এবং রাজ্যের শাসকদলের একের পর এক ঘটে যাওয়া দুর্নীতিকেই সামনে রেখে ভোট প্রচারে নামতে চলেছে পদ্ম শিবির ৷

একই সঙ্গে,এদিন নরেন্দ্র মোদির কথায় উঠে এসেছে কেন্দ্রের টাকা লুঠ করা হয়েছে আবাস যোজনা বা 100 দিনের কাজ এ, এই নিয়েও তৃণমূলের প্রচারের পালটা বলে সোচ্চার হবে বিজেপি ৷ এদিন শুরুতেই মোদি বলেন, "তৃণমূল যা করেছে সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে তা দেখে গোটা দেশ আজ দুঃখিত এবং ক্ষুব্ধ ৷ রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা কাঁদছে এরা সন্দেশখালিতে যা করেছে ৷ , সব সীমা পার করে এরা মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে ৷"

এরপরই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উদ্দেশে সুর চড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ কখনও মুখ্যমন্ত্রী, কখনও দিদি সম্বোধন করে একের পর এক শ্লেষ বাক্য ছুড়ে দিয়েছেন মোদি ৷ তিনি বলেন, "যখন সন্দেশখালির মা-বোনেরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন, তখন মমতা দিদি কী করলেন ? অভিযুক্ত তৃণমূল লোকেদের বাঁচাতে উঠে পড়েছিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত রাজ্যের পুলিশ ও আপনাদের সামনে ঝুঁকেছে ৷ বিজেপির চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে ৷ প্রায় দুই মাস তৃণমূলের এই নেতা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ৷এতদিন তাকে আড়াল করেছে এমন কেউ তো আছে ৷ আপনারা কি ক্ষমা করবেন এরকম তৃণমূলকে ? মুখ্যমন্ত্রী দিদির কাছে বাংলার জনতা প্রশ্ন করছে, সন্দেশখালির মা-বোনদের সম্মানের থেকে কি কিছু মানুষের ভোট বেশি হলো ? লজ্জা থাকা দরকার ৷" সন্দেশখালির ঘটনায় গোটা দেশবাসী এখন আতঙ্কিত বলেও তিনি জানান ।

মোদির নিশানায় ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গও  উঠে এসেছে এই সন্দেশখালির ঘটনায় ৷ তিনি বলেন, " সন্দেশখালির ঘটনা দেখেও ইন্ডি নেতারা চোখ-কান-নাক-মুখ সব বন্ধ করে বসে আছেন ৷ পাটনা, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয় এই সব জায়গায় বৈঠক করছেন ৷ তৃণমূল আর এরা কি একবারও দেখেনি সন্দেশখালির দিকে যেখানে সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছে ৷ বাংলার এই পরিস্থিতি গোটা দেশ দেখতে ও বুঝতে পাচ্ছে ৷ তৃণমূল অতিক্রম করে গিয়েছে দুঃসাহসের সব সীমারেখা ৷ সন্দেশখালি নিয়ে বাম-কংগ্রেসের জবাব চাওয়ার সাহস হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ৷ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তো এও বলেছেন ছাড়ুন তো , বাংলায় তো এরকম অনবরত হতেই থাকে !"