ইডির সিল করা বাড়িতে এবার সিবিআই রাও
শাহজাহানের বাড়িতে এর আগে রেশন 'দুর্নীতি' মামলার তদন্ত করতে গিয়েছিল ইডি। তারা দ্বিতীয় বার গিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে তালা ভেঙে ঢুকেছিল। বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে বাড়ি সিল করে দিয়ে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা। শাহজাহানের বাড়ির বাইরে নোটিসও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই অবস্থাতেই পড়ে আছে বাড়িটি। বাড়ির বাইরে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। শাহজাহানের সেই বাড়ির সামনেই বৃহস্পতিবার হাজির হয় সিবিআই। আদালতের নির্দেশে তারা এখন সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত করছে।
সিবিআই আধিকারিক কর্তারা শাহজাহানের বাড়ির সামনে গিয়ে আশপাশ ঘুরে দেখেন এবং এলাকার বেশ কিছু ছবি তোলেন ।কিছুক্ষণ থেকে তাঁরা আবার ফিরে যান। তাদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
শাহজাহানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিবিআই যায় সন্দেশখালির শাহজাহান মার্কেটে। ওই বাজার এলাকায় শাহজাহানের অফিসও রয়েছে। সেখানে সিবিআই আধিকারিকেরা যান। বেশ কিছু ছবি তোলা হয় মার্কেটের।
উল্লেখ্য, রেশন মামলার তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে প্রথম বার ইডি এসেছিল ৫ জানুয়ারি। ইডি আধিকারিকদের সে বার মার খেয়ে ফিরতে হয়েছিল। শাহাজাহান তার পর থেকে ৫৫ দিন 'নিখোঁজ' ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে সিআইডি হেফাজতে রাখা হয়েছিল সন্দেশখালিকাণ্ডের অন্যতম মূল এই অভিযুক্তকে। পরে আদালতের নির্দেশে বুধবার তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শাহজাহান আপাতত কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেসে রয়েছেন । আর তাঁর বাড়িতে অর্থাৎ সন্দেশখালিতে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
কলকাতা হাই কোর্ট সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। বুধবার শাহজাহানকে হাতে পাওয়ার পর রাতেই সিবিআইয়ের একটি দল সন্দেশখালি পৌঁছে গিয়েছিল। সেখানে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিবিআইকে দেখা গেল শাহজাহানের বাড়ির সামনে।
কিছু দিন আগে পর্যন্ত শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারি চেয়ে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির বাসিন্দাদের একাংশ। মহিলাদের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালিতে। শাহজাহানদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, এলাকায় তাঁরা অত্যাচার চালান। জমি জবরদখল, চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া, মারধর, কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়া, মহিলাদের উপর নির্যাতনের মতো অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। বিতর্কের মুখে শাহজাহানকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল।