CAA রাজ্যে লাগু হতে দেবে না জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
'ঐতিহাসিক', ট্যুইট শুভেন্দুর,
সিএএ নিয়ে আবেদন করতে অনলাইনে পোর্টাল, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
দেশজুড়ে কার্যকর হল CAA। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Political choice 2024) আগেই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তি জারির পর দেশজুড়ে লাগু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Update Act)। আজ থেকেই সিএএ বিধি কার্যকর। মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামীকাল থেকে CAA-নিয়ে করা যাবে আবেদন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, CAA নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে পোর্টালে।
সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি: লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের। ২০১৯-এর ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। তারপর করোনা পর্বে CAA কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথাতেও উঠে এসেছে এই বিষয়টি। আইনে পরিণত হওয়ার প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর কার্যকর CAA।
বাংলায় এসে নাগরিকত্ব নিয়ে ২০১৪ সাল থেকেই বারবার সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ। BJP CAA চালুর কথা বলেছিল ২০১৯ সালে নির্বাচনী ইস্তেহারে । মোদি সরকার ওই বছরই দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA পাস করায় । বিজেপির দাবি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে CAA নিয়ে , যার মধ্যে অন্যতম, নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।
বিজেপির যুক্তি, CAA চালুর ফলে,
নাগরিকত্বের আইনি বাধা দূর হবে
শরণার্থীদের একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেওয়া যাবে
শরণার্থীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত পরিচয় রক্ষা করবে
নিশ্চিত করা যাবে শরণার্থীদের অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক, অবাধ চলাচল এবং সম্পত্তি কেনার মতো অধিকার
কেন এই আইন কার্যকর?
এই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অর্থাৎ হিন্দু,বৌদ্ধ, জৈন,শিখ,পার্সি, খ্রিস্টানরা যদি ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় নিতে চান, সে ক্ষেত্রে তাদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে আশ্রয় চেয়েছিলেন এবং ভারতে ৫ বছর বাস করলেই তাঁরা এদেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের যোগ্য হবেন।