জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকে পেট্রোল পাম্পের কর্মীরাই। তারাই কারসাজিটা করে। বলা উচিত, গ্রাহককে লুঠ নেয়।
মাঝেমধ্যেই পেট্রোল পাম্পে জালিয়াতির খবর শোনা যায়। কোনও ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিও। কিছু ঘটনা আবার গোপন থাকে। কিন্তু পেট্রোল পাম্পে জালিয়াতি হয় কীভাবে? সেটা অনেকেই জানেন না। দিনের আলোয় এই জালিয়াতি চলে। গ্রাহক বুঝতেও পারেন না।
আসলে এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকে পেট্রোল পাম্পের কর্মীরাই। তারাই কারসাজিটা করে। বলা উচিত, গ্রাহককে লুঠ নেয়। কীভাবে? ফিলিং মেশিনের মিটার ‘জিরো’ না করেই গাড়ি বা বাইকে পেট্রোল কিংবা ডিজেল ঢালতে শুরু করে। এতে কী হল? জ্বালানি গেল কম। কিন্তু মেশিনে যে বিল উঠল পুরোটাই গ্রাহকের থেকে আদায় করা হল।
বিষয়টা বোঝা গেল না? খোলসা করে বলা যাক। ধরা যাক কেউ বাইক নিয়ে পাম্পে গিয়ে বললেন, ‘৫০০ টাকার তেল ভরে দিন’। পেট্রোল পাম্পের কর্মী মেশিনের রিডার জিরো না করেই তেল ভরতে শুরু করল।
এখন মিটার রিডিং যদি ইতিমধ্যেই ৫০ টাকা থাকে তাহলে তারপর থেকে রিডিং শুরু হবে। এবং ৫০০-য় গিয়ে থামবে। পাম্পের কর্মী তখন মিটার বন্ধ করে দেবে। এর ফলে গ্রাহক ৫০০ টাকা দিয়ে ৪৫০ টাকার তেল ভরলেন। অর্থাৎ ৫০ টাকা তাঁর জলে গেল। বলা ভাল, পাম্পের কর্মী কারচুপি করে ৫০ টাকা ‘চুরি’ করল।
এই ধরনের জালিয়াতি থেকে বাঁচার একটাই উপায়। পাম্পের কর্মী তেল ভরার আগে দেখে নিতে হবে মেশিনের মিটার যেন ‘শূন্য’ থাকে। আর যদি না থাকে, তাহলে কর্মীকে মিটার ‘শূন্য’ করার কথা বলতে হবে গ্রাহককে।
পেট্রোল ভর্তি করার সময়ও মিটারে নজর রাখতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে যেন সঠিক পরিমাণ পেট্রোল দেওয়া হয়। যদি কেউ মনে করেন, তাঁকে পরিমাণ মতো জ্বালানি দেওয়া হয়নি তাহলে তিনি পাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। শুধু তাই নয়, কতটা জ্বালানি দেওয়া হয়েছে সেটা পরীক্ষা করে দেখাও যায়।
তবে পেট্রোল পাম্পে অন্যভাবেও জালিয়াতি হয়। অনেক সময় দেখা যায় পেট্রোল ঢালতে শুরু করলেই মেশিনের রিডিং শূন্য থেকে সরাসরি ১০, ১৫, ২০ টাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। কিন্তু রিডিং ১,২,৩ টাকা থেকে শুরু হওয়া উচিত। একে জাম্প ট্রিক বলে। এটাও প্রতারণা। এমনটা ঘটলে সঙ্গে পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো উচিত।