Banner

শৌচালয়ে গিয়েছিলেন, আর ফিরলেনই না! নিখোঁজ শ্রমিককে পাওয়া গেল গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায়: Malda

Tech News Bangla Malda

 

মানিকচক থেকে গাজোলে শ্রমিকের কাজে এসেছিলেন, গাজোলের একটি গ্রাম সরিষা কাটার কাজ করছিলেন ওই শ্রমিক।


মালদহ: শ্রমিকের কাজে গিয়ে মালিকের বাড়ি থেকে নিখোঁজ শ্রমিক। অন্যান্য শ্রমিকেরা খোঁজাখুঁজি করেও কোনও হদিস না পেয়ে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে মালিকের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে গাছের ডালে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় শ্রমিকের।

ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অন্যান্য শ্রমিকদের দাবি তাকে খুন করা হয়েছে। যদিও মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত নেমেছে স্থানীয় গাজোল থানার পুলিশ। মালদহের গাজোল থানা এলাকার বুড়িদহ এলাকার ঘটনা। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম রঞ্জিত মণ্ডল (৪২)।

বাড়ি মালদহেরমানিকচক থানার হাড্ডাটোলা গ্রামে। জানা গিয়েছে, হাড্ডাটোলা গ্রামের ১৩ জন শ্রমিক গাজোলের বুড়িদহ গ্ৰামে কাজের জন্য আসে। এখানে তারা সরিষা কাটার কাজে আসে। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জমির মালিকের বাড়িতে থেকে কাজ শুরু করে। কাজ শেষে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে রঞ্জিত মণ্ডল শৌচালয়ে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় রঞ্জিত মণ্ডল।১৮ ফেব্রুয়ারি গাজোল থানায় নিখোঁজ অভিযোগ করা হয়। তারপর এদিন মালিকের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে, জঙ্গলের মধ্যে একটি গাছে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা। সঙ্গে থাকা শ্রমিক রামবিলাস মণ্ডল বলেন, শৌচালয়ে গিয়েছিল রাতে। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। আমাদের প্রাথমিক অনুমান কেউ খুন করেছে। কারণ হাত ভাঙা ও শরীরের জমা খোলা ছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।

মৃত শ্রমিকের পরিবারের অভিযোগ, রঞ্জিত মণ্ডলকে হাত ভেঙে খুন করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গাজোল থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ।