টাকা লেনদেনে সাবধান, এই ৫ ক্ষেত্রে নোটিশ ধরাতে পারে Income Tax Department
রয়েছে ৫ ধরনের আর্থিক লেনদেন, যেখানে নিয়ম ভাঙলে আয়কর দফতরের নোটিশের মুখে পড়তে হবে। সেগুলো কী, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে।
এ দেশে নগদ লেনদেনের চল বহু পুরনো। ভারতীয় অর্থনীতিতে এর গুরুত্বও অপরিসীম। উল্টো দিকে এটা ‘কালো টাকা’ সাদা করার একটা বহু ব্যবহৃত কৌশল। কালো টাকা আটকাতে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সময় নগদ লেনদেনের একাধিক সীমা নির্ধারণ করেছে। এই সীমার বেশি নগদ টাকা দিলে বা গ্রহণ করলে প্রদত্ত বা প্রাপ্ত পরিমাণের উপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা আদায় করার নিয়ম রয়েছে।
ভারতের আয়কর আইনে ২ লাখের বেশি নগদ লেনদেন নিষিদ্ধ। সে যে কোনও ক্ষেত্রেই হোক না কেন। অর্থাৎ যদি কেউ এক লপ্তে ৩ লক্ষ টাকার গয়না কেনেন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই চেক, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিল মেটাতে হবে। এমনকী পরিবারের কোনও সদস্যের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
উচ্চ মূল্যের লেনদেনে নগদের ব্যবহার কমাতে ২৬৯ এসটি ধারার আওতায় ২ লাখ টাকার বেশি নগদ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এর মানে এক দিনে একজন নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকেই ২ লাখ টাকার বেশি গ্রহণ করতে পারবেন না।
এখানেই শেষ নয়, এই নিয়মে কোনও অনুষ্ঠানে ২ লাখের বেশি নগদ উপহারও গ্রহণ করা যাবে না। যদি নিয়ম না মেনে কেউ ২ লাখ টাকার বেশি নগদ নেন তাহলে প্রাপ্ত পরিমাণের সমান জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে আরও ৫ ধরনের আর্থিক লেনদেন, যেখানে নিয়ম ভাঙলে আয়কর দফতরের নোটিশের মুখে পড়তে হবে। সেগুলো কী, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি, ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের বিল নগদে শোধ করলে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেসকে তা জানাতে হবে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি, ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের বিল নগদে শোধ করলে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেসকে তা জানাতে হবে।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমাব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করারও সীমা হল ১০ লক্ষ টাকা। এর বেশি অঙ্কের নগদ জমার ক্ষেত্রে আয়কর দফতর নোটিশ ধরাতে পারে।
রিয়েল এস্টেটকেউ যদি কোনও জমি বা বাড়ি কেনেন অথবা বিক্রয় করেন এবং সেক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক নগদে ৩০ লক্ষের বেশি হয়, তবে তা আয়কর দফতরকে অবগত অবশ্যই করতে হবে।
শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড এবং ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগযদি একজন করদাতা শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে আর্থিক বছরে লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করেন, তাহলে তা আয়কর কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।